Welcome To BTSSD

বাংলাদেশ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন (BTSSD) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত (রেজিঃ নং: 192427) একটি প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সারা বিশ্বে মানব সভ্যতার এ চূড়ান্ত বিকাশে প্রযুক্তির অবদান কতটুকু, সে কথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আধুনিক পৃথিবীর সাথে দ্রুত তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদেরকেও প্রযুক্তির উপরে গুরুত্ব দিতে হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় (যেমন : শিক্ষা, বানিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, কৃষি, যোগাযোগ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক), ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর, বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে যুগান্তকারী সাফল্য বয়ে এনেছে। তথ্য প্রযুক্তি আজ গোটা পৃথিবীকে পরিবর্তন করে দিয়েছে যেমন- স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, বীমা, ব্যবসা বাণিজ্য, ইন্ডাষ্ট্রি সহ সকল কিছু তথ্য প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত। সুতরাং বুঝতে হবে প্রযুক্তির এই যুগে কম্পিউটার এর গুরুত্ব কতটুকু! সমগ্র পৃথিবী এখন কম্পিউটার এর উপর নির্ভরশীল, এটা এখন খুব সহজে বলা যায়। বিদ্যা এবং তথ্য প্রযুক্তি অসম্ভবকে সম্ভব করে দিতে পারে। তেমনি আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার-এর সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের পরিবর্তনের জন্য তৃর্ণমূল পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির উপর কাজ করে যাচ্ছি এবং বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করেছি। আমরা দ্রুত মানুষের কাছে নতুন কিছু পৌঁছে দিতে চাই। পৃথিবী যখন প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমাদের মাতৃভূমি পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই। উন্নত দেশগুলিতে মানুষ ঘরে বসেই কেনাকাটা থেকে শুরু করে সকল কাযর্ক্রম অনলাইনের মাধ্যমে করে থাকে এবং আউটসোসিং এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে গ্রাম পর্যায়ে এখনও প্রত্যাশিতভাবে প্রযুক্তি নির্ভর সেবার প্রশিক্ষন ব্যবস্থা চালু হয়নি। তাই আমরা চাই দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে শহর পযর্ন্ত প্রযুক্তি নির্ভর সেবার প্রশিক্ষন ব্যবস্থা চালু করতে। যাহাতে সাধারণ মানুষ প্রশিক্ষণের পর ঘরে বসেই কম্পিউটার মাধ্যমে সকল কাযর্ক্রম অনলাইনের করতে পারে এবং আউটসোসিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার তৃর্ণমূল পর্যায় থেকে বাধ্যতামূলক কম্পিউটার শিক্ষা চালু করছেন। যেহেতু আজ দেশ দিন দিন বেকারত্বে সংখ্যা বেড়ে চলছে যা দুর করা সকলের দায়িত্ব শুধু সরকারেরই নয়, তাই আমরা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের মানুষের পাশে থাকতে চাই। দক্ষ জনবল সৃষ্টি করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

আমাদের মিশন।

তথ্যপ্রযুক্তির নতুন দিগন্ত বাংলাদেশ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন (BTSSD)। ইহা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, জনসেবামূলক ও দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে সারাদেশে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো এবং জাতীয় পর্যায়ে তার সুফল বিস্তারের লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এবং ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন (BTSSD)। BTSSD Technical Skills Development of Bangladesh গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর রেজিষ্ট্রেশন আইন XVIII অব ১৯৯৪ এর আওতায় যার রেজিষ্ট্রেশন নং 192427. বাংলাদেশ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন (BTSSD) এর উপর সরকার কর্তৃক অর্পিত ক্ষমতা বলে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা, ও জেলাগুলোতে বৃহত্তর বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি, কারিগরী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যার মূল উদ্দেশ্য তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেশের সকল পর্যায়ের দারিদ্র বিমোচন করা। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে স্থাপিত হয়ে ২০২১ সালের সরকারী অনুমোদন লাভ করে এবং নতুন সংযোজনের পর আরো একটি নতুন রেজিষ্ট্রেশন নং 192427 পায়। এই প্রতিষ্ঠান তার সফলতার ধারাবাহিকতায় অনেকগুলো সেবামূলক প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশে প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা, ও জেলা গুলোতে ডিজিটাল IT Village গড়ে তোলা। এই পর্যন্ত প্রায় ৪২৫ টিরও বেশি IT প্রতিষ্ঠান সফলতার সাথে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। “Education is the backbone of a nation” এই কথাটি যদি সত্যি হয়, তাহলে আজ কেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়া শেষ করে আমাদের তরূণ মেধাবী ছেলে-মেয়েরা চাকুরী নামক সোনার হরিণের পিছে দৌড়ে, হতাশাগ্রস্থ হয়ে বেকারত্ব নামক অভিশাপের আঁচলে মুখ লুকিয়ে সমাজ ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাহলে কোনটি সত্যি? তাদের মেধার অভাব? নাকি তারা সঠিক শিক্ষাব্যবস্থা পাচ্ছেনা? বাংলাদেশ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন (BTSSD) এর চেয়ারম্যান মনে করে দ্বিতীয়টি সত্যি। যে শিক্ষা ব্যবস্থা একজন ছাত্রের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারে না, পারেনা তার মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে, সে শিক্ষা ব্যবস্থা কোন শিক্ষাই নয়। যেমন- পুঁথিগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধনের মতো যা প্রয়োজনের সময় কোন কাজেই আসেনা। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে বলছি, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো যুগোপযোগী ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে থাকবেনা কোন বেকারত্বের অভিশাপ।

আমাদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা:

১। “বাংলাদেশ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন (BTSSD)” বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে ৪৫৫৪টি, উপজেলা হেড কোয়ার্টারে ৩টি করে ১৭৯৩টি এবং জেলা হেড কোয়ার্টারস্ এ ৫টি করে ৩২০টি সর্বমোট ৬৩৪৭ টি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ২। প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন বাংলাদেশ (BTSD) কেন্দ্রে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দ্রুত কম্পিউটার লিটারেসি তৃণমূল পর্যায়ে বৃদ্ধির লক্ষ্যে অন-লাইন কম্পিউটার শিক্ষা প্রবর্তন কর্মসূচী বাস্তবায়ন। যার মধ্যে BTSSD- Online Education, BTSSD- Technical Institute, BTSSD Computer Education

৩। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ICT Based বাজেট অনুযায়ী বাংলাদেশ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন (BTSSD) – প্রতিষ্ঠান এর অধীনে বিভিন্ন আইটি ইন্সটিউট ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, টেকনিক্যাল আইটি স্থাপনসহ অনলাইন শিক্ষা প্রবর্তনে আইএসপি স্থাপন করে তথ্য প্রযুক্তিকে জনগণের শিক্ষা ও সেবামূলক কাজে ব্যবহার করে ব্যাপক কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি করা।

৪। আঞ্চলিক কেন্দ্রের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে এবং পরিচালনার লক্ষ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট স্থানীয় একটি আঞ্চলিক পরিচালনা পরিষদ থাকবে। ঐ সকল সদস্যমন্ডলী বাংলাদেশ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন (BTSSD) রিজিওনাল ডাইরেক্টর হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করবেন।

৫। বাংলাদেশ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন (BTSSD) দেশী/ বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা, গবেষণা, “ Memorandum of Understanding” এর মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিয়ম – নীতি অনুসরণ করে সাধারণ, কারিগরী ও তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

৬। বাংলাদেশ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন (BTSSD) যে কোন ছাত্র/ছাত্রীকে স্কলারশিপ, দেশের বরেণ্য ব্যক্তি ও গুণীজনকে পদক প্রদান করতে পারবে। ইহা ছাড়াও যে কোন সমস্যা বা উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা প্রধান কার্যালয় ও আঞ্চলিক কেন্দ্রের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন (BTSSD) নির্বাহী কাউন্সিল উক্ত নীতিমালা পরিবর্তন, পরিবর্ধন করতে পারবেন। সরকারী ও বেসরকারী সকল পর্যায়ে যারা এই মহান সৃষ্টির শুরু থেকে সফলতা অর্জন পর্যন্ত আমাকে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছেন এবং আগামীতে করবেন, জাতি প্রকৃত পক্ষে সেই সকল মহান ব্যক্তিগণকে শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করবে। মানুষ ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করে, আমি ঘুম থেকে উঠে বাস্তবে দেখতে পছন্দ করি। যেদিন ঘুম থেকে উঠে বাস্তবে দেখবো আমাদের দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশে কোন বেকারত্ব থাকবে না সেদিন আমার সমস্ত চেষ্টা, পরিশ্রম ও স্বপ্ন স্বার্থক হবে বলে আমি মনে করি।